২৮ এপ্রিল ২০২৪, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস। টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নে সকল কর্মক্ষেত্রে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে ২৮ এপ্রিল 'জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস' পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ; গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ'। বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভায় পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দিবসটির উদ্যেশ্য ও মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কক্সবাজার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অদিধপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক জনাব শাহ মোফাখ্খারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব বিভীষণ কান্তি দাশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জনাব মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইমরুল কায়েস, জেলা ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স অধিদপ্তরের স্টেশন অফিসার জনাব মোহাম্মদ জাহেদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শফিউল্লাহ আনসারী সহ হোটেল মালিক সমিতির প্রতিনিধি, বিভিন্ন হোটেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণ, বিভিন্ন শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বেসরকারী এনজিও এবং বিভিন্ন খাতের শ্রমিকগণ।
কক্সবাজার জেলার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অদিধপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক জনাব শাহ মোফাখ্খারুল ইসলাম এর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের পর বক্তারা মুক্ত আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন উৎপাদনশীলতা বাড়ার সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাস্থ্যসম্মত ও শোভন কর্মপরিবেশ সম্পর্কে মালিক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সব কলকারখানায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ সামনে রেখে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কর্মস্থলের নিরাপত্তায় বিনিয়োগ হলো মালিকের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ।
আলোচনায় তিনি শিশুশ্রম নিরসন, কারখানা প্রতিষ্ঠানে সেইফটি নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সকলকে ঐকবদ্ধ ভাবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, সরকার শ্রমিক ও মালিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়ক নানাবিধ প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ করেছে।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শ্রমিক-মালিক-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।